মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিল দেশের শিল্পক্ষেত্রে নিরাপত্তা কতটা অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলছে। নিহতদের স্বজনদের আহাজারি, মর্গের সামনে অপেক্ষমাণ মানুষজনের অসহায়তা-এ সবই যেন কোনো নতুন দৃশ্য নয়, বরং বারবার ফিরে আসা এক করুণ বাস্তবতা।
যে ভবনে একই সঙ্গে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদাম চালানো হচ্ছিল, তা কতটা অনুমোদিত বা নিরাপদ ছিল? এ প্রশ্ন এখন সবার। একই ভবনে দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ ও কর্মীদের কাজ করানো স্পষ্টভাবে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। অথচ কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন বা শ্রম পরিদর্শক কেউ তা দেখলেন না?
আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রতিটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত কমিটি হয়, আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবতা অপরিবর্তিত থেকে যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মৃত্যু ও শোকের চক্র কবে থামবে?
সরকার, শিল্প মালিক ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, এবার যেন শুধু তদন্ত নয়, বাস্তব পরিবর্তন নিশ্চিত হয়। প্রতিটি কারখানায় নিরাপত্তা পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক হোক। জীবনের চেয়ে উৎপাদন কোনোভাবেই বড় হতে পারে না।


0 Comments